বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়িতে ২৮ জুন শুরু হয় হালনাগাদ ভোটার তালিকার কাজ। ১৪ জুলাই শেষ হয়েছে। কিন্তু টানা বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢলে বন্যা, খালবিলে পানি বৃদ্ধি ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের কারণে উপজেলার দুর্গম ইউনিয়ন দৌছড়ী, সোনাইছড়ি ও বাইশারীতে অনেক নতুন ভোটার এ হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি বলে জানান স্থানীয় চেয়ারম্যানরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দৌছড়ী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ জানান, তাদের ইউনিয়নটি উপজেলার সবচাইতে দুর্গম ও বিদ্যুৎবিহীন এলাকা। টানা ও ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢলে এ এলাকার অনেক সেতুবিহীন ছড়া ও খাল ছিল পানিতে ভর্তি। যেহেতু জন্মনিবন্ধন কার্ড, ভূমিহীন সনদ ও বিভিন্ন প্রত্যয়নের কাগজ উপজেলায় গিয়ে তাদের নিজস্ব কম্পিউটার থেকে সংগ্রহ করতে হয়, সেহেতু যোগাযোগের কারণে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে পারেননি অনেক নতুন ভোটার। এজন্য তারা এবারও বাদ পড়তে যাচ্ছেন ভোটার হালনাগাদ থেকে।
বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম কোম্পানি ও সোনাইছড়ির চেয়ারম্যান বাহাইন মার্মাও একই কথা বলেছেন। টানা বৃষ্টিপাতে উপজেলার সদর ইউনিয়ন ও ঘুমধুমের একই অবস্থার কথা জানান সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী।
হালনাগাদ ভোটারের কাজে দায়িত্বরত দৌছড়ি ইউপির পাইনছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলি হোসেন জানান, তার এলাকায় রুবি আক্তার ও বেলাল হোসেন নামে দুই নতুন ভোটার কাগজপত্র সংগ্রহ করতে না পারায় তাদের হালনাগাদের ফরম পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
ভোটার হালনাগাদের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বঞ্চিতরা।