চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

এক সপ্তাহে ৬ চুরি, ১ ডাকাতি!

নিজস্ব সংবাদদাতা, সন্দ্বীপ

১৫ জুলাই, ২০১৯ | ১১:০৭ অপরাহ্ণ

গত এক সপ্তাহ ধরে সন্দ্বীপে চলছে চুরি ডাকাতির হিড়িক। এক সপ্তাহে ৬ টি চুরি ও ১ টি ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৪ জুলাই) ভোররাতে কালাপানিয়া ইউনিয়নের দীঘিরকোনা বাজারে দুটি দোকানে চুরি হয়। চোরেরা দোকানের তালা ভেঙ্গে সোহাগ সওদাগরের মুদি দোকান থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা ও নিজাম সওদাগরের হার্ডওয়্যার দোকান থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়।

কালাপানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আলীমুর রাজী টিটু বলেন, একটি সংঘবদ্ধ চোর চক্র আবার সক্রিয় হয়ে এ চুরির ঘটনাগুলো শুরু করেছে। গত ১১ জুলাই বৃহস্পতিবার মগধরা ইউনিয়নের বাংলাবাজার প্রকাশ ছউল্লার হাটের জামাল স্টোর, বাতেন স্টোর ও ভাইভাই স্টোর নামে তিনটি দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ভাইভাই স্টোরে থাকা হাফেজ শাহাবুদ্দীনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দোকানে থাকা নগদ টাকাসহ প্রায় ৬০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে।

১৩ জুলাই শনিবার রাত আনুমানিক দুইটায় আবারো চুরি হয় পাশ্ববর্তী মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ দুটি দোকানে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত আনুমানিক দুইটায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেইটের তালা ভেঙ্গে প্রধান শিক্ষকের একটি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। এ সময় চোর একটি আলমারির দরজা ভাঙচুর করে। তবে আলমারি থেকে কিছু নেয়নি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন।



একই সময় সাউথ সন্দ্বীপ ডিগ্রী কলেজের তিনটি কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙ্গে চোরচক্র কলেজে প্রবেশ করে দুইতলার কম্পিউটার ল্যাবের তালা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। শব্দ শুনে কলেজের অধ্যক্ষ ও নাইটগার্ড বেরিয়ে আসলে চোর পালিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সুরাইয়া বেগম জানান, চোরের তালা ভাঙ্গার শব্দ শুনে আমরা বেরিয়ে আসলে টের পেয়ে চোর পালিয়ে যায়। তবে তারা কিছু চুরি করে নিতে পারেনি। একই রাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির মাঝামাঝি অবস্থানের কারামতিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন বাজারের একটি ও তার পাশের আরেকটি তেমাথার দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও মালামাল চুরি হয়। চুরির ঘটনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জামাল উদ্দিন সন্দ্বীপ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।সন্দ্বীপ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশের ওসি শেখ শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিটি চুরি ও ডাকাতির ঘটনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে মগধরা ইউনিয়নের ছউল্লার হাটে দোকান ডাকাতির ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, চুরি ও ডাকাতির ঘটনাগুলোর এখনো পর্যন্ত কোনো মামলা করেনি ভুক্তভোগীরা। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি, প্রতিটি ঘটনায় ভুক্তভোগীদের প্রতি মামলা করতে আহবান জানিয়েছেন তারা। উপজেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরীর পদ থাকলেও অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাতে কেউ না থাকার অভিযোগ রয়েছে।

পূর্বকোণ/নরোত্তম-রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট