চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফটিকছড়িতে নদী খালের ভাঙ্গনে অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাজিরহাট

১১ জুলাই, ২০১৯ | ১০:০১ অপরাহ্ণ

ফটিকছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল সহ প্রায় অর্ধ শত গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হালদা নদী, ধুরুং নদী, সর্তা, গজারিয়া, তেলপারী,লেলাং, বার মাসিয়া ও ফটিকছড়ি খালসহ বিভিন্ন খালের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানের পুরনো ভাঙা অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে।
উপজেলার গহিরা-হেয়াঁকো সড়কের আমতলী,চাড়ালিয়াহাট, শাহনগর, চৌমুহনী, ফটিকছড়ি পৌরসভা হতে উত্তর ফটিকছড়ির হেয়াঁকো পর্যন্ত কয়েকটি স্থানে প্রধান সড়কে সেতুর কাজ চলার কারনে বিকল্প সেতু গুলো যে কোন সময় ডুবে উত্তর ফটিকছড়ির সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। নাজিরহাট- রামগড় সেকশন ১ সড়ক সম্পূর্ণ পানির নিচে ডুবে থাকায় সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া নাজিরহাট পৌরসভা, ভূজপুর, পাইন্দং,সুয়াবিল,সুন্দরপুর,হারুয়ালছড়ি,সুয়াবিল,রোসাংগিরী, নানুপুর,লেলাং, বক্তপুর,সমিতিরহাট ও খিরাম ইউনিয়নের প্রায় অর্ধশত গ্রামের গ্রামীন সড়ক পানিতে ডুবে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সে সাথে শত শত পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন গুলোর নিন্মাঞ্চল পানিতে ভাসছে। এসব বন্যা কবলিত এলাকায় কৃষকের শত শত হেক্টর আমন ধান ও বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানি না গেলে শত শত কৃষক ক্ষতি গ্রস্থ হবে। বন্যায় ইতো মধ্যে ৮টি বসত ঘর হালদা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। আরো শত শত ঘর নদী ও খালে বিলীন হবার উপক্রম হয়েছে।
লেলাং ইউপি সদস্য মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘ভারি বর্ষণের ফলে তার এলাকার নিন্মাঞ্চল ও গ্রামীণ সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। লেলাং ও কুতুবছড়ি খালের পূর্বের ভাঙন দিয়ে পানি বের হওয়াতে কয়েকটি মৎস ও মুরগীর খামারেও পানি ঢুকে পড়েছে।
ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, ভারী বর্ষনে পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক পানিতে ডুবে থাকার পর ও মানুষ নিত্য প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়ত করছে; তবে গ্রামীন অনেক সড়কের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদুল আরেফীন বলেন, অব্যাহত বৃষ্টিতে উপজেলার সমিতিরহাট ইউনিয়নে ৮টি বসতঘর হালদায় বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া খিরাম ইউনিয়নের পাহাড়ী এলাকায় বসবাসরত ২০টি পরিবারকে সেখান থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি আরো বলেন,‘যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে প্রশাসনের প্রস্তুতি রয়েছে। যেসব এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা চিহ্নিত করে সরকারিভাবে সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

পূর্বকোণ/পলাশ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট