চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

মহানগর আওয়ামী লীগের সভার সিদ্ধান্ত

২ সেপ্টেম্বর থেকে ৪৩টি ওয়ার্ডের সম্মেলন শুরু

১১ জুলাই, ২০১৯ | ২:৩৮ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আগামী অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিতব্য ২১তম জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে কেন্দ্রের নির্দেশানুযায়ী আগামী ২ সেপ্টেম্বর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের আওতাধীন ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এর পূর্বে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডে তৃণমূলের তিনটি ইউনিটে সম্মেলন সম্পন্ন করার নির্দেশনাও দেয়া হয়। ২ অক্টোবর এই কার্যক্রমের শুরু হবে ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে। গতকাল বিকেলে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া শোকের মাস ১ আগস্ট থেকে মাসব্যাপী মহানগর, থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন সংগঠনের সাংগঠনিক নির্দেশনা সম্বলিত কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ের সাংগঠনিক কমিটিগুলো সবকটি ইতিমধ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। এর ফলে তৃণমূল স্তরে সাংগঠনিক কার্যক্রমে কিছুটা স্থবিরতা এলেও মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটি কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী সকল কার্যক্রম এবং বিভিন্ন জাতীয় দিবস ও দলীয় গুরুত্বপূর্ণ

দিবসগুলোতে সফলতার সাথে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে পেরেছে। মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব জাতীয় ২১তম সম্মেলনের আগেই তৃণমূল স্তরে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি ও ঐক্যের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তাই মহানগর আওয়ামী লীগ বর্তমান কমিটি ওয়ার্ড সম্মেলনগুলোর তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে এবং এজন্য তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের এখন থেকেই সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। তিনি আরো বলেন, কোন কোন ওয়ার্ড ও ইউনিটে এখনো নূতন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়নি। যে সমস্ত ওয়ার্ড এই কার্যক্রম এখনো শেষ করতে পারেনি আগামী ৩১ জুলাই এর আগে অবশ্যই শেষ করতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, প্রয়াত এ.বি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও কাজী এনামুল হক দানুর নেতৃত্বাধীন কমিটির মেয়াদকালীন সময়ে যে ১৮টি ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি সেই সব ওয়ার্ডে সম্মেলন সর্বাগ্রে সম্পন্ন করা হবে। আরো জানান যে, ৪৩টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষ হওয়ার পর পরই মহানগরীর আওতাধীন ১৫টি থানা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি সংগঠনের তৃণমূল স্তরের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সম্মেলনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে কিন্তু কোন ধরণের ব্যক্তিগত বিরোধ, বিদ্বেষ এবং পারস্পরিক বৈরিতা নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোন ভাবেই প্রশ্রয় দেয়া হবে না। মনে রাখতে হবে আমাদের ঐক্যই দলীয় ভিত্তিকে শক্তিশালী ও সুদৃঢ় করবে। তিনি জানান যে, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমে সম্পাদকমন্ডলীর সভা ও পরে সভাপতিমন্ডলী সভার পর আগামী ২০ জুলাই বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, পর পর তিনবার ক্ষমতাসীন হওয়ার ফলে আওয়ামী লীগে সুযোগ সন্ধানী অতিথি পাখিদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। এরা সংগঠনের ভেতরে অনুপ্রবেশ করে নিজেদের আত্মস্বার্থ সিদ্ধির জন্য দলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এরা প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় দলীয় পরিচয় ও পদবী জাহির করে অনৈতিক সুবিধা আদায়ে সচেষ্ট। এবিষয়টি আমরা অবশ্যই প্রশাসনকে অবগত করব। তিনি আরো বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে এ ধরনের সুযোগ সন্ধানী অতিথি পাখিরা যাতে ঢুকে পড়তে না পারে সেজন্য আমাদেরকে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সভায় মহানগর আ.লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন এম.পি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ লড়াই-সংগ্রাম-আন্দোলনে রাজপথে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে। তাই জনসম্পৃক্ততা সংগঠনের গণভিত্তিকে সুদৃঢ় করতে তৃণমূল নেতাকর্মীদেরকেই অগ্রবর্তী বাহিনীর ভূমিকা পালন করতে হবে। সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন সম্পাদক এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক দেবাশীষ গুহ বুলবুল, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, উপপ্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. নুরুল আলম, গোলাম মো. চৌধুরী, জাফর আলম চৌধুরী, আবদুল লতিফ টিপু, রোটারিয়ান ইলিয়াছ, মো. জাবেদ, মোরশেদ আকতার চৌধুরী।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট