চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাহাড়ি ঢলে ভাঙছে ভা-ালজুরি খাল

ঘরবাড়ি ফসলি জমি পানিতে বিলীন

সেকান্দর আলম বাবর, বোয়ালখালী

১১ জুলাই, ২০১৯ | ১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

জ্যৈষ্ঠপুরা ভা-ালজুরি খালের পাড়ে বাস বিধবা জেসমিন আকতারের। স্বামীর রেখে যাওয়া মাটির ঘর আর দুই ছেলে ও দ্ইু মেয়েকে নিয়ে কোনরকমে জীবনযাপন তাদের। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢল নামলেও তাদের ঘরটি ছিল মোটামুটি রক্ষিত। কিন্তু এবার আর রক্ষা করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে পানির তোড়ে চলে গেছে ঘরের একাংশ। যেকোন সময় বাকিটাও চলে যাওয়ার পর্যায়ে। মাটি চাপা পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় ঘর ছাড়তে হয়েছে তাদের। উঠেছেন নিকটবর্তী আত্মীয় বাড়িতে। সেখানেও দেখা যায়, থাকার জায়গা অপ্রতুল। গত চারদিনের টানা বৃষ্টিপাতে এমনই পরিস্থিতি খাল পাড়ের রোশা আকতার, শাহিদা আকতার, জলিল বক্স, সেকান্দর মিয়া, উজ্জল বড়–য়া ও হতদরিদ্র মোজাফ্ফর মিয়ার ঘরও। অতি বর্ষণে কাজহীন দিন পার করতে গিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছে এ খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
সরেজমিনে দেখা যায়, গত ৪ দিনের বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে পাহাড়ি চাষাবাদের। পানির তোড়ে ভা-ালজুরি খাল দিয়ে ভেসে যাচ্ছে পাহাড়ে উৎপাদিত শাক-সবজি, লেবু ও পেয়ারা। এ সময় ক্ষণে ক্ষণে পাহাড়ে রোপিত ফলদ ও বনজ গাছপালাও পানির তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। একাধিক ঘর-বাড়ি খালের অব্যাহত ভাঙনে পানির সাথে মিশে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তরা পার্শ্ববর্তী বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় ইউনুচ আাজম খোকন জানান, গত চারদিনের বৃষ্টিপাতে পাহাড় ও খাল পাড়ের মানুষের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি। খেটে খাওয়া মানুষের জীবনযাত্রা থমকে গেছে। আতঙ্কে রয়েছে তারা। তাদের জন্য সরকারি সাহায্য জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মোকারম বলেন, গত মঙ্গলবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি ঘর একবারে বিলীন হয়ে গেছে পাহাড়ি ঢলে। তাছাড়া পাহাড়ে পাদদেশে গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারীদের নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দিয়েছি ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করেছি, অতীতের মতো সরকারি সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট