চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বিক্ষোভের মধ্যেই ভারতে নাগরিকত্ব আইন কার্যকর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১১ জানুয়ারি, ২০২০ | ২:৫০ অপরাহ্ণ

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) কার্যকর করা হয়েছে। দেশজুড়ে তীব্র আন্দোলনের মধ্যেই এ আইন কার্যকর করা হয়েছে। শুক্রবার এ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় সরকারের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। 

নতুন নাগরিকত্ব আইনের মাধ্যমে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া অ-মুসলমানরা (হিন্দু, শিখ, পার্সি, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন) ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব অনিল মালিকের পক্ষ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯, ধারা ১, উপধারা ২ মেনে ১০, জানুয়ারি ২০২০ থেকে আইন কার্যকর করা হলো।’

গত ১১ ডিসেম্বর সংসদে পাস হয় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। তারপর থেকেই এই আইন ঘিরে উত্তাল দেশ। বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন আইন ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি, যা সংবিধানের পরিপন্থী। এটা বিজেপির দেশভাগের ষড়যন্ত্র। 

সিএএ প্রত্যাহারের দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু হয় ভারতজুড়ে। বিক্ষোভে হামলা, হত্হতের ঘটনাও ঘটেছে। 

বিজেপি শাসিত আসাম থেকে উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটকে নিহত হয়েছেন মোট ২৬ জন। এর মধ্যে শুধু উত্তরপ্রদেশেই মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। বিক্ষোভের কারণে বিভিন্ন জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করতে হয়েছে। বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। 

পথে নেমে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেরালা, পশ্চিমবঙ্গের ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীরা ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন সিএএ কার্যকর করবেন না। কেরালায় এই আইনের বিরুদ্ধে বিধানসভায় শাসকবিরোধী একযোগে প্রস্তাব পাস করেছে, যা সংবিধান বহির্ভূত বলে জানিয়েছে বিজেপি। ইতোমধ্যেই নতুন আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে মামলা হয়েছে।

এদিকে বিক্ষোভের বিরোধিতায় সোচ্চার কেন্দ্র ও গেরুয়া শিবির। প্রবল বিক্ষোভে এনআরসি নিয়ে কিছুটা সুর নরম করলেও দেশে সিএএ লাগু করতে মরিয়া মোদি সরকার। তাদের দাবি, নয়া আইন মানবতার প্রতীক। ধর্মের ভিত্তিতে তৈরি নয়, উল্টো এতদিন যারা নানা কারণে শরণার্থী ছিলেন তাদের নাগরিকত্ব প্রদান করে সম্মানিত করা হবে। এই আইন কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের বিরুদ্ধে নয়। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, তিন প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা অ-মুসলমান শরণার্থীদের নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে হবে। তবে কেন তারা এদেশে এসেছেন তার উল্লেখ করতে হবে না। 

 

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট