চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

নির্বাচিত পরিষদের ৫৩তম সাধারণ সভায় মেয়র

৪১টি ওয়ার্ডের ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে চসিক

১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:২১ পূর্বাহ্ণ

নগরীকে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের আওতায় ৪১টি ওয়ার্ডের ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। ইতোমধ্যে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। শীঘ্রই এই ব্যাপারে চসিক এবং আইডব্লিউএম’র মধ্যে চুক্তি হতে যাচ্ছে। ৪১ টি ওয়ার্ডের প্রতিটি ওয়ার্ডকে আলাদা আলাদা এবং একটি কেন্দ্রীয়ভাবে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেমের আওতায় আনা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চসিকের ব্যয় হবে ১২ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ানের সময়সীমা আড়াই বছর। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত ৫ম পরিষদের ৫৩তম সাধারণ সভায় সভাপতির

বক্তব্যে সিটি মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন এই তথ্য প্রকাশ করেন। নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত এই সভায় চসিক প্যানেল মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, চসিক প্রধান নির্বাহী মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, মেয়রের একান্ত সচিব মো. আবুল হাশেমসহ চসিক বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনায় ছিলেন চসিক’র ভারপ্রাপ্ত সচিব,প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম। জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ডিজিটাল ম্যাপ প্রণয়নের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম শহরকে স্মার্ট সিটি বাস্তবায়নে জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। এর মাধ্যমে একটি শহরের সকল তথ্য উপাত্ত আদান-প্রদান নগর পরিকল্পনার ক্ষেত্রে জিআইএস পদ্ধতি একটি যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করবে। স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং দক্ষতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। বিশেষ করে কর্পোরেশনের আয় বৃদ্ধিতে জিআইএস পদ্ধতি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।

এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেন নগরের কোনো জিআইএস ডিজিটাল ম্যাপ নেই। নগরে কি কি সম্পদ আছে তা জানা সকলের উচিত। এমনকি সিটি কর্পোরেশনের স্বার্থ সংরক্ষণে এই ম্যাপ গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই জিআইএস ডিজিটাল ম্যাপ নগরবাসী এ্যাট-এ-গ্যালেন্স হিসেবে দেখতে পারবে বলে মেয়র মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আগামী ২০২০ সালের ১৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী। এই শতবার্ষিকীকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। একে ঘিরে দেশব্যাপী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। এর আলোকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনও বছরব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

সভায় নগরীর কর্র্তনকৃত রাস্তা ফি আদায়ের রেইট অব শিডিউল পুনঃবিন্যাস, ৪১ টি ওয়ার্ড ও রাজস্ব সার্কেলসহ ফিঙ্গার প্রিন্ট চালু, জেনারেটরের ভাড়া, জেনারেটর ও টিউব লাইট ফ্যাক্টরির মেশিনারি নিলাম, চসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক, জঙ্গিবাদ ও বাল্যবিবাহ এবং বিবিধ বিষয়ে সচেতনতা মূলক প্রচারণাসহ বিগত সভার কার্যবিবরণী আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এছাড়া সভায় অর্থ ও সংস্থাপন, শিক্ষা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যরক্ষা, নগর অবকাঠামো নির্মাণ ও সংরক্ষণ, আইন শৃঙ্খলা, যোগাযোগ, নগর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, পরিবেশ উন্নয়ন সম্পর্কিত, দারিদ্র হ্রাসকরণ ও বস্তি উন্নয়ন, পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ, পানি ও বিদ্যুৎ স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যানগণ স্ব স্ব কমিটির কার্যবিবরণী উপস্থাপন করেন এবং আলোচনান্তে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভার শুরুতে ১৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস.এম.মহিম উদ্দিন মহিমসহ সম্প্রতি নগরীতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তিদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা হারুণ-উর-রশিদ চৌধুরী।
শেষে আজিজ এন্ড কোং লি. পাকিং সলিউশনের জন্য পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বহুতল মেকানিক্যাল পার্কিং গ্যারেজ সম্পর্কে তথ্য উপাত্ত প্রদর্শন করে।-বিজ্ঞপ্তি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট