চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

উচ্ছেদের এক সপ্তাহ পার না হতেই দখল

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:১১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ৩৯নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করতে টানা তিনদিন ধরে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছিল সিটি কর্পোরেশন। ৩ নভেম্বর রবিবার থেকে ওয়ার্ডের ফ্রি-পোর্ট এলাকায় এ উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেন স্থানীয় কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। এ অভিযানে দখলমুক্ত হয় পথচারীদের চলাচলের স্থানটি। কিন্তু দখলমুক্ত ফুটপাত ফের দখলদারদের কবলে পড়ে। উচ্ছেদের এক সপ্তাহের মধ্যে ফুটপাত পুনরায় দখলে নিয়ে দোকান বসাতে শুরু করে একটি চক্র। এতে করে আবারো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের। ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে প্রধান সড়কের পাশ দিয়ে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা যায়, বন্দরটিলার ওয়ার্ড কার্যালয়ের সামনের ফুটপাত দখল করে সেখানে দোকান বসিয়েছে হকাররা। সেখানে সবজি থেকে শুরু করে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় নানা পণ্য। এতে করে সাধারণ পথচারীরা ফুটপাতে হাঁটার সুযোগ পাচ্ছেন না। দখলের কারণে ফুটপাতের মূল অংশ সংকুচিত হয়ে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ত সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের।
অন্যদিকে, এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের নির্মাণের জন্য সেখানে কাটা হচ্ছে সড়ক। এতে করে প্রধান রাস্তাটিও সংকুচিত হয়ে পড়েছে। বেড়েছে পথচারীদের চলাচলের ঝুঁকির মাত্রা।

শহীদ গাজী নামে এক পথচারী বলেন, ‘আমি ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক। বাসা বন্দরটিলা এলাকাতে। বাসা থেকে অফিসের দূরত্ব খুব একটা বেশি না হওয়ায় হেঁটেই অফিসে যাওয়া আসা করি। তবে চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে গত ৫ বছরে ফুটপাত কখনও হকারমুক্ত দেখি নাই। অনেক সময় এসব দোকানগুলোতে ক্রেতাদের এতটাই ভিড় থাকতো যে ফুটপাত দিয়ে হাঁটাও যেতো না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হতো। কিন্তু কিছুদিন আগে ফুটপাত হকারমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন। এতে করে আমাদের চলাচলে অনেক সুবিধা হয়েছিল। কিন্তু হকারমুক্ত ফুটপাতে বেশি দিন হাঁটার সৌভাগ্য আমাদের হয়নি। কয়েকদিন ধরে আবারো হকাররা ফুটপাত দখল করতে শুরু করেছে। আবার সেই ঝুঁকি নিয়ে ব্যস্ত রাস্তার পাশ ধরে হাঁটতে হবে আমাদের। এ থেকে একটা জিনিস বুঝলাম, সেটা হচ্ছে, এ দেশে প্রশাসনের থেকে দখলদাররা ক্ষমতাশালী।’

ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন পূর্বকোণকে বলেন, ‘পথচারীদের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল ফুটপাত দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনাগুলো। পথচারীদের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। প্রায় সহস্রাধিক অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু ফুটপাত দখলমুক্ত করার কয়েক দিনের মধ্যে আবারো দখল হয়ে যাচ্ছে। এটি পুরোপুরিভাবে দখলমুক্ত করার জন্য আমি প্রশাসনের সহযোগিতা চাইছি।’

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট