চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আরামকো নিয়ে সৌদি-মার্কিন বাগাড়ম্বর

আবারো ইরানকে টার্গেট; ‘বাস্তবতা মেনে কথা বলুন’ : জারিফ

২৫ নভেম্বর, ২০১৯ | ১:৩১ পূর্বাহ্ণ

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : সৌদি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আদেল আল জুবায়ের আবারো দাবি করেছেন, “তার দেশের বৃহৎ আরামকো কোম্পানির তেল স্থাপনায় হামলার সঙ্গে ইরান জড়িত।” মানামায় এক বৈঠকে যে ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছিল তা ইরানের তৈরি দাবি করে তিনি বলেছেন, “সৌদি আরব ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার বিরোধী নয় কিন্তু আমরা ইরানকে এমন জবাব দিতে চাই যাতে ওই ধরণের ড্রোন হামলার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।” ইরানকে খুশী রাখার চেষ্টা করে লাভ নেই কারণ হিটলারের সঙ্গে আলোচনা করেও লাভ হত না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশগুলোতে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, “মার্কিন সেনা উপস্থিতি কমানো হবে না বরং বাড়ানো হবে।”

প্রকৃতপক্ষে, সৌদি আরব ও তার মিত্রদের হামলায় এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে আরো হাজার হাজার এবং শরণার্থী হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ইয়েমেনি যোদ্ধারাও ১০টি ড্রোনের সাহায্যে সৌদি আরবের পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত আরামকো কোম্পানির নিয়ন্ত্রণাধীন দু’টি তেল শোধনাগারে হামলা চালায়। সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওই হামলায় প্রায় ৫০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমে গেছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ আরামকো তেল স্থাপনায় হামলায় তেহরানের হাত থাকার ব্যাপারে আমেরিকা ও সৌদি আরবের অভিযোগ সম্পর্কে বলেছেন, আমরা আমেরিকাকে এটা জানিয়ে দিতে চাই যে, এসব উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলার পরিবর্তে তারা যেন বাস্তবতা মেনে কথা বলে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সৌদি আরব আসলে ইয়েমেনের চোরাবালিতে আটকা পড়েছে। এ অবস্থা থেকে তাদের বেরিয়ে আসার একমাত্র পথ হচ্ছে যুদ্ধ বন্ধ করা।

শেয়ার করুন