চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় বখাটেদের লাথিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর সন্তান নষ্টের অভিযোগ

রেলওয়ের পদোন্নতি পরীক্ষায় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ অক্টোবর, ২০১৯ | ৪:৪৩ অপরাহ্ণ

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে পদোন্নতির জন্য বাধ্যবাধকতা রয়েছে স্নাতক বা ডিগ্রি পাসের। তা সত্ত্বেও অষ্টম শ্রেণি পাস যোগ্যতার ৪৭ জনকে দেয়া হচ্ছে পদোন্নতি। এখানেই শেষ নয়, পদোন্নতি বোর্ডের ওই কমিটিতে থাকা তিনজনের মধ্যে একজন দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত। অভিযোগ রয়েছে, জনপ্রতি এক থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে তাদের পদোন্নতি দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে রেলওয়েতে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্যের।

সূত্র জানায়, স্টেশন মাস্টার (গ্রেড-২) পদোন্নতি পরীক্ষার আয়োজন করা হয় আগামী ৬ নভেম্বর। এর জন্য বাছাই করা হয় ১০৮ জনকে। এদের মধ্যে অন্য বিভাগের ৪৭ জন। এসব পদের মধ্যে সুইপার, খালাসি ও ওয়েম্যানসহ রয়েছে অন্যান্য ক্যাটাগরি।

স্টেশন মাস্টার পদে যোগ্যতা স্নাতক বা ডিগ্রি পাসের দরকার হলেও ৪৭ জনেরই কারোরই ওই যোগ্যতা নেই। অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ দিয়ে ১৯৮০ সালের দিকে চাকরিতে যোগদান করেছিলেন তারা।

অভিযোগ রয়েছে, কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা টাকা নিয়ে তাদের পদোন্নতি দিচ্ছেন। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র পার্সোনাল অফিসার মো. সিরাজ উল্লাহ হলেন পদোন্নতি পরীক্ষার জন্য গঠিত বোর্ড কমিটির সদস্য সচিব। এর আগে তিনি জুনিয়র ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (জেটিআই) পদোন্নতি পরীক্ষায় দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন রেলওয়ের মহাপরিচালকের গঠিত তদন্ত কমিটিতে ।

এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার ও কর্মচারী ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোখলেছুর রহমান পদোন্নতি পরীক্ষা বাতিল চেয়ে গত ২৫ অক্টোবর (শুক্রবার)চিঠি দিয়েছেন রেলমন্ত্রী বরারবর ।

মোখলেছুর রহমান বলেন, স্টেশন মাস্টার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয় স্নাতক বা ডিগ্রি পাসের এবং তা রেলওয়ের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী। অথচ অষ্টম শ্রেণির পাস ৪৭ জনকে সুপারিশ করা হয়েছে স্টেশন মাস্টার পদে পদোন্নতি পরীক্ষার জন্য। যাতে নিয়ম মানা হয়নি। এছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১০৮ জনের মধ্যে সুইপার, খালাসি ও ওয়েম্যানসহ অন্যান্য ক্যাটাগরি থেকে বাছাই করা হয়েছে।

পদোন্নতি পরীক্ষার সদস্য সচিব রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সিনিয়র পার্সোনাল অফিসার মো. সিরাজ উল্লাহ বলেন, জুনিয়র ট্রাফিক ইনসপেক্টর (জেটিআই) পদোন্নতি পরীক্ষা কমিটি বাতিল করেছিল। এখানে আমিসহ সবাই দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলাম। যেহেতু তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, কমিটি থেকে আমি সরে গেলে কি সমাধান হবে? আমি আমার নামটা রেলওয়ের ডিজিকে অনুরোধ করে প্রত্যাহার করে নেব।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে স্টেশন মাস্টার পদোন্নতি পরীক্ষার অভিযোগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

 

পূর্বকোণ/রাশেদ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট