চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাসিনা মহিউদ্দিনকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়ার জের

মেয়রকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

মুখোমুখি মহিউদ্দিন ও নাছির অনুসারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ অক্টোবর, ২০১৯ | ৪:১০ পূর্বাহ্ণ

হাসিনা মহিউদ্দিনকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভামঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়ার ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে ক্ষমা চাওয়ার সময় বেঁধে দিয়েছে নগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারীরা। গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশে তারা এই আল্টিমেটাম দেন।

অপরদিকে আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা বলছেন, সিটি মেয়রের চৌকস নেতৃত্বে ঈর্ষান্বিত হয়ে গুটিকয় রাজনৈতিক নেতা নোংরা রাজনীতি করছে।

এদিকে, গতকাল চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন হলে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা জানে আলম দোভাষের স্মরণ সভায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী এবং আ জ ম নাছিরের অনুসারীদের মুখোমুখি অবস্থান করতে দেখা গেছে। স্মরণসভার পরিবেশ ছিল থমথমে। কোতোয়ালী থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যদেরকেও সতর্ক অবস্থানে থাকায় শেষ পর্যন্ত কোন ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে নগর যুবলীগ নেতা একরামুল হক বলেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী আমাদের আবেগের জায়গা। তিনি আমাদের আবেগের জায়গায় আঘাত করেছেন। এই আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সমস্যার সমাধানের দাবি জানান তিনি।
নগর যুবলীগ নেতা নেছার আহমদ বলেন, আমরা
। ৯ম পৃষ্ঠার ৫ম ক.­

আলহাজ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসতাম। একইভাবে তার পরিবারকেও ভালবাসি। সিটি মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্ত্রীকে অপমান করে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগকে অসম্মান করেছেন। যা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, আজকের সমাবেশ দানব মুক্তির সমাবেশ। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে অপশক্তি অবসানের সমাবেশ। গত তিন-চার বছর ধরে চট্টগ্রামে খুনের রাজনীতি হচ্ছে। সুদীপ্ত, দিয়াজ, নাসিম আহমেদ সোহেল খুন হয়েছে। কোনো খুনের বিচার হয়নি। এসব খুনিদের গডফাদার একজন। চট্টগ্রামের রাজনীতি থেকে গডফাদার নির্মূল করতে হবে। সিটি মেয়রের উদ্দেশে রনি বলেন, ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করব। ক্ষমা না চাইলে। বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হব।

সমাবেশে কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান মনসুর, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল, শ্রমিক লীগ নেতা আবুল হোসেন আবু, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আজিজুর রহমান আজিজ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য উম্মে হাবিবা, যুবলীগ নেত্রী আঞ্জুমান আরা, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাউদ্দিনসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে উপস্থিত আ জ ম নাছির উদ্দীনের আরেক অনুসারী কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা আবদুল মান্নান ফেরদৌস বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ রাজনীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে আমাদের প্রতিপক্ষের হাতে সমালোচনার ইস্যু তুলে দিতে একটি অংশ উঠেপড়ে লেগেছে। সিটি মেয়রের চৌকস নেতৃত্ব দেখে তারা ঈর্ষান্বিত হয়েই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে।

সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ও নগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, ছয়টি সাংগঠনিক জেলার একটি শান্তিপূর্ণ ও সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল নোংরা রাজনীতি করছে। তবে আমরা সংঘাত চাই না। আমরা শান্তিপূর্ণ রাজনীতি করতে চাই। তাছাড়া হাসিনা মহিউদ্দিনের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। কারণ দলীয় ফোরামের সিদ্ধান্ত দলের সবাই জানে। কে মঞ্চে উঠবেন আর কে উঠবেন না। নগর মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবে যদি তাকে মঞ্চে তুলতে হয়, তাহলে আরো পাঁচ সাংগঠনিক জেলার মহিলা লীগের সভাপতিদেরও তুলতে হতো। তারা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে মঞ্চে উঠেননি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট