এক ঝড় না কাটতেই আরেক ঝড়ের কবলে বাংলাদেশের ক্রিকেট। এবার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে চলেছেন বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নিয়মের বাইরে এক টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করে ফেঁসে গিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের ওপর ভীষণ চটেছে বিসিবি। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গতকাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, সাকিবের গাফেলতি প্রমাণ হলে বোর্ড তার বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ করবে। নিয়ম ভঙ্গ করলে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানান বিসিবি সভাপতি।

জানা গেছে, বিসিবির অনুমতি না নিয়ে ঢাকার গ্রামীণ ফোন কোম্পানির সঙ্গে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে মোটা অঙ্কের চুক্তি করেছেন সাকিব। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে তা জানিয়েছেনও বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। বিসিবি বলেছে, বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া কোনও ক্রিকেটারের-ই বিজ্ঞাপন বা যে কোনও ধরনের নতুন চুক্তি করতে পারবে না। ক্রিকেটারদের আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল-টিম স্পন্সরদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনও চুক্তিতে যাওয়া যাবে না। কিন্তু সাকিব এ নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করেননি।

বিসিবি সভাপতি পাপন জানিয়েছেন, সাকিবের কাছে প্রথমে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। পুরো বিষয়টি বোর্ডের সঙ্গে থাকা চুক্তির নিয়ম মেনে হয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। এ বিজ্ঞাপনে চুক্তির বরখেলাপ ঘটলে সাকিবের কাছে ক্ষতিপূরণও দাবি করবে বোর্ড। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ফোন কোম্পানিকেও লিগ্যাল নোটিশ পাঠানও হবে।

গতকাল মিরপুরের শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হঠাৎ হাজির বিসিবি সভাপতি। সেখানেই জানান তিনি, সাকিবকে কোনও ধরনের ছাড় দেবেন না তারা। বোর্ডের নিয়ম হয়তো ভঙ্গ হয়েছে। তবে সামনে গুরুত্বপূর্ণ ভারত সফর। সেই দিকটি বিবেচনায় নিয়ে কোনও ছাড় কি দেওয়া হবে? পাপন পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন, ‘ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

সাকিবকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো নিয়ে পাপন বলেন, ‘আমাদের আইন অনুযায়ী এটা কোনোভাবেই করতে পারে না। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। ওই টেলিকম কোম্পানিও জানে, খেলোয়াড়রাও জানে এটা চুক্তিতে নেই। কাজেই এটা কেন করলো, তবে ওকে তো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। এজন্য আমরা চিঠি দিয়েছি। এতটুকুই বলতে পারি এটা করতে পারে না।’