হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর সৌদি আরবে গিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ৭৭২ জন হাজী লাগেজ হারিয়েছেন। এদের মধ্যে মক্কার হজ অফিস থেকে ৬৪৮ জন হাজী তাদের হারানো লাগেজ শনাক্ত করে নিয়েও গেছেন। তবে শুক্রবার রাত পর্যন্ত আরো ১২৪টি লাগেজ মক্কার হজ অফিসে জমা রয়েছে বলে মক্কার হজ অফিস সূত্র জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ বছর যেসব হাজীরা সাধারণ ফ্লাইটে অর্থাৎ রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতার বাইরের ফ্লাইটে হজে যাচ্ছেন তাদের লাগেজই হারাচ্ছে বেশি। তবে লাগেজ হারালেও দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের সব হাজীদের লাগেজই সৌদি আরবস্থ হজ অফিসে গিয়ে জমা হবে। পরে সেখান থেকে হাজীরা তাদের পিআইডি নাম্বারের সাথে মিলিয়ে ও নিজ নিজ লাগেজ শনাক্ত করে লাগেজ সংগ্রহ করতে পারেন। আর এজন্য সেখানকার হজ অফিসে নিজস্ব লোকজনও হাজীদের সহায়তার জন্য সার্বক্ষনিক সময়ের জন্য নিয়োজিত আছেন।

সূত্র আরো জানায়, এ বছর থেকে বিশেষ দু’টি সুবিধা পাচ্ছেন বাংলাদেশী হজযাত্রীরা। যেসব ফ্লাইটে শুধু হজযাত্রী বহন করা হবে কেবল তারাই এ সুবিধা লাভ করবেন। আর এ সেবাটির নাম দেয়া হয়েছে রুট টু মক্কা ইনিশিয়েটিভ। এ প্যাকেজের আওতায় যেসব হাজীরা মক্কায় যাবেন তাদের লাগেজ বিমান বন্দর থেকে সরাসরি মক্কা-মদিনার হোটেলে পৌঁছে দেয়া হবে। এই হজযাত্রীদের আরো একটি সুবিধা হচ্ছে প্রি ডিপার্টচার ইমিগ্রেশন। অর্থাৎ সৌদি আরবে পৌঁছার পর যে ইমিগ্রেশন হয় সেটা বিমানে ওঠার আগে ঢাকাতেই হয়ে যাবে। দু’টি সুবিধাই পাচ্ছেন কেবল ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইট অর্থাৎ যে ফ্লাইটে শুধু হজযাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে সেই ফ্লাইটের যাত্রীরা। আর এই রুট টু মক্কার প্যাকেজর যাত্রীদের লাগেজ হারানোর কোনো আশংকাই থাকছে না।

পূর্বকোণ/ময়মী