রাঙ্গুনিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তিতে পড়েছেন অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ। এই এলাকার মানুষদের অভিযোগ নিত্য বিদ্যুৎ বিভ্রাটে স্বাভাবিক জীবনও ব্যাহত হয়ে পড়েছে তাদের। উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়ন, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার সৈয়দবাড়ি (একাংশ) ও ইছামতি এলাকার বাসিন্দারা বিদ্যুৎ বিভ্রাটের প্রতিকার না পেয়ে আন্দোলনে যাওয়ার কথা জানান। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দাবি সঞ্চালন লাইনে ক্রটি কিংবা কোনো সমস্যা হলে অনেক সময় বিদ্যুৎ বন্ধ থাকে। ইচ্ছে করে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয় না।
এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভোগান্তি পোহালেও কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। তাদের অভিযোগ, আশপাশের এলাকাগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকলেও এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সব সময় আসা যাওয়া করে। অনেক সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়।
মরিয়মনগর ইউনিয়নের গ্রাহক মো. করিম উদ্দিন বলেন, ‘এলাকায় প্রায় সময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুৎ বন্ধ থাকার পর অফিসে খোঁজ নিলে তাদের অভিযোগ কেন্দ্রের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায় না। রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার ইছামতি এলাকার বাসিন্দা মো. লোকমান বলেন, ‘একটু বৃষ্টির আভাস পেলে বিদ্যুৎ বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলে অনেক সময় তারা বলেন, বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ার কারণে বন্ধ করা হয়েছে।
সৈয়দবাড়ি এলাকার বাসিন্দা মো. জুয়েল বলেন, ‘একটি বিশেষ বিদ্যুৎ লাইনে সবসময় বিদ্যুৎ থাকে। কিন্তু আমাদের লাইনে সব সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাট লেগেই আছে। বিদ্যুৎ বিতরণে এতো বৈষম্য কেন ? দীর্ঘদিন এর প্রতিকার না পেয়ে আমরা ১০ গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে আন্দোলনের কথা ভাবছি’।
জানতে চাইলে পল্লী বিদ্যুৎ রাঙ্গুনিয়া কার্যালয়ের উপ-ব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মাধব নাগ বলেন, ‘আমি নতুন আসেছি, তাই সবকিছু জানব না। তবে এখন তো কোনো লোডশেডিং নেই। প্রচ- ঝড়, বজ্রপাত, কিংবা সঞ্চালন লাইনে গাছ পড়লে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয়। ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখা হয় না। দুটি সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কারণে পাশাপাশি ঘরে হয়তো বিদ্যুৎ থাকা না থাকার সমস্যাটা হয়। আবার অনেক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ হয়তো একটু বেশি রাখা হয়, এটা স্বাভাবিক। এসব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি’।

পূর্বকোণ/এসি