চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

রাস্তায় রহস্যময় মাজার কার জানে না কেউই

অনলাইন ডেস্ক

২৫ জুলাই, ২০২১ | ৭:১১ অপরাহ্ণ

তুরস্কের জেলা শহর সিভাসে ইয়েনি মাহেলা হামজাওলু পাকা রাস্তার মধ্যে যদি গাড়ি নিয়ে ঘোরাফেরা করেন, বিশাল এক সমাধিফলকযুক্ত একটি রহস্যময় মাজারের মুখোমুখি হবেনই।

মধ্য তুরস্কের তুলনামূলক নতুন জেলা সার্কিসলা। এ জেলারই শহর সিভাস। ইয়েনি মাহেলা হামজাওলু- এ শহরের অন্যতম সড়ক। শহরজুড়ে এটি বিস্তৃত। এই সড়কটির মাঝে অবস্থিত একটি কবরের মুখোমুখি হবেনই যে কেউ। সরাসরি গাড়ি নিয়ে সামনে এগোতে পারবেন না। ডানে বা বাঁয়ে বাঁক নিয়ে তারপর যেতে হবে। কবরটি বহু বছর ধরেই এখানে রয়েছে। তবে সম্প্রতি মাজারের বিভিন্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার কারণে তুরস্ক সরকারেরও টনক নড়ে। দুর্ঘটনার আশংকা ও নিরাপত্তার বিষয়টি এ কারণে সামনে আসে।

কবরের গায়ে “ফকির শহীদ বাবা” খোদাই করা বিশাল একটি শিলালিপি আছে। কেউই জানে না কবরটি আসলে কার। সার্কিসলা জেলার এ সড়ক নির্মাণের সময় সড়কের মাঝে পড়ে এমন বাড়িঘর সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কবরটি সরানো হয়নি। এলাকার মানুষজন বিশ্বাস করে, রহস্যময় কবরটি এক সময় এখানকার কারও বাড়ির আঙ্গিনার মধ্যেই ছিল। তবে কেন এই কবরের জন্য কয়েক মিটার বাইপাস না দিয়ে বরং এর চারপাশ দিয়ে সে সময় রাস্তা নির্মিত হয় তা আরেক রহস্য।

প্রতিবেশী এলাকা কান্দেমি। সেখানকার একজন মোড়ল আহমেট হার্ক। তুর্কি সংবাদপত্র হাবরকে তিনি বলেছিলেন, রহস্যময় কবরটি ঘিরে প্রচলিত বিশ্বাস ও গল্পই নির্মাণ শ্রমিকদের বাধ্য করেছিল একে নিজের জায়গায় রেখে দিতে। কবর থেকে দেহাবশেষ স্থানান্তরের কথা থাকলেও তারা তা করতে চায়নি। কথিত আছে, কবরে থাকা ব্যক্তিটি এ জায়গার সর্বশেষ শেষ মালিকের স্বপ্নে হাজির হয়েছিলেন। তিনি তাদের জানান, কবরটি একটি পবিত্র মাজার। এ জায়গার আগের মালিকদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রত্যেকেই চাননি, কবরটি সেখান থেকে সরানো হোক। সেখান থেকে বাড়িঘর সরিয়ে নেওয়া হলেও, কবরটি ঠিকই সেখানে থেকে যায়।

স্থানীয়রা বিশ্বাস করে, সেখানে একজন শহীদ বা জ্ঞানী ব্যক্তিকে কবর দেওয়া হয়েছিল। সারাবছরই কেউ না কেউ এখানে এসে ফুল দেয়। গাড়িচালক বা পথচারী কেউ কবরটি নিয়ে কখনও বিরক্তি প্রকাশ করে না।

 

সূত্র: অডিটিসেন্ট্রালডটকম

পূর্বকোণ/সাফা

শেয়ার করুন