চট্টগ্রাম বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

জিম্বাবুয়েতে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ‘ফাইনাল’ কাল

স্পোর্টস ডেস্ক

২৪ জুলাই, ২০২১ | ৮:১৯ অপরাহ্ণ

চলমান জিম্বাবুয়ে সফরে বাংলাদেশ ৭ জুলাই প্রথমবার মাঠে নেমেছিল টাইগাররা। সাদা পোশাকে একমাত্র ম্যাচটিতে জয় দিয়ে সফর শুরু করে বাংলাদেশ দল। এরপর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের ধবল ধোলাই করে তামিম ইকবালরা।

সবশেষে ধুম-ধাড়াক্কা সিরিজ, প্রথমটি মাঠে গড়ায় ২২ জুলাই। তাতে ফেবারিটের মতো খেলে ৮ উইকেটে জয়, সাথে শততম টি টোয়েন্টি জয়ও আসে ম্যাচটিতে। পরের দিন অর্থাৎ ২৩ জুলাই দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতে অতিথি বাংলাদেশ সফরে প্রথম হারের স্বাদ নেয়।

তিন ম্যাচের সিরিজে দুই দলের একটি করে জয়ে তাই ২৫ জুলাই রবিবারের শেষ ম্যাচটি পরিনত হয়েছে ফাইনালে। ম্যাচটি বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪.৩০টায় শুরু হবে, জিটিভি ও টি স্পোর্টস হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠ থেকে খেলাটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।

পুরো সিরিজে ২৩ জুলাই’র জয়টি ছাড়া জিম্বাবুয়ের প্রাপ্তির খাতা প্রায় শুন্য। সে অর্থে কাল রবিবার তারা সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করবে টি টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিতে। অবশ্য দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের জয় যতটা আলোচনায় তারচেয়ে বেশি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাইম ও সাকিব আল হাসানদের উচ্চাভিলাসি ব্যাটিং।

সে একই ভুল কাল করতে চান না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সে সাথে সফরের তিনটি সিরিজই জিতে দেশে ফিরতে চান তিনি। শেষ ম্যাচের আগে দলের ফিল্ডিং নিয়ে কিছুটা হতাশা থাকলেও ব্যাটসম্যানদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রথম ম্যাচেও অস্বস্তিতে পড়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেদিন নাইম শেখ এবং নুরুল হাসান সোহান ত্রাতা হয়ে দেখা দিয়েছিলেন।

ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তনের বাজি কাজে লাগিয়ে স্বাগতিকদের উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। বাজির ফলতো আর প্রতিদিন নিজের পক্ষে আসবে না। কিন্তু ভক্তরা থেকে শুরু করে বোদ্ধারাও বিস্মিত, কেন দ্বিতীয় টি টোয়েন্টিতে অমন ব্যাটিং করলো টাইাগররা। খারাপ খেললে হারতে হবে। তাই বলে ফিল্ডারদের ক্যাচিং প্র্যাকটিস করানো ! ম্যাচে একটি বোল্ড বাদে ৯ টাইগার ব্যাটার ক্যাচ আউট হন।

নিশ্চিতভাবেই সে ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ দল শিক্ষা নেবে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যেমন বললেন, এক ম্যাচ হারার কারণে জয়ের মধ্যে থাকা দলটা খারাপ হয়ে যায় না। এভাবে চিন্তা করাটাও ঠিক হবে না। আমি আমার দল নিয়ে আস্থাবান। হার জিতের চেয়েও বিশ্বকাপের আগে ছোটখাটো পরীক্ষা চালিয়ে দল গুছিয়ে নেয়াটাই প্রাপ্তি হিসেবে নিতে চাই।

কালকের ম্যাচের আগে অধিনায়ক আরও বলেন, ‘যেহেতু আর একটা ম্যাচ বাকি আছে। তাই আমরা ওই ম্যাচটা ফাইনাল ম্যাচ হিসেবেই খেলব। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব ম্যাচটি জয়ের জন্য। আমাদের ব্যাটিং অর্ডার ও বোলিং, দুই দিকেই ফ্লেক্সিবিলিটি আছে। আমি মনে করি, আমাদের দল দারুণ ব্যালান্সড।

আপনি যদি স্পিন বোলিং বিভাগ দেখেন, পেস বোলিং দেখেন, অলরাউন্ডারদের দেখেন, সব জায়গাগুলিই আমরা পূর্ণ করি।
টানা ভালো খেলতে থাকা যে কোন দলের জন্য যে কোন দিনই হঠাৎ বাজে দিন হয়ে যেতে পারে। ভক্তরা মানতে চাইছেন শুক্রবারের দিনটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটি বাজে দিন মাত্র। কাল আবারো টাইগাররা ফিরবে স্বরুপে। ম্যাচে কি করে টাইগাররা সেটাই এখন দেখার।

ভাল খেলে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ জয়ের মধুর স্বাদ ও সুখস্মৃতি নিয়ে দেশে ফিরবে, নাকি ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে মোকাবেলার আগে সিরিজ হেরে ফিরবে দেশে? পরের বাক্যটা অবশ্য টাইগার ভক্তরা আমলে নিতে চাচ্ছেন না, কারণ জিম্বাবুয়ে যতই নিজেদের মাঠে শক্তিশালি হোক না কেন-এই বাংলাদেশই কিন্তু ফেবারিট।

পূর্বকোণ/মামুন

শেয়ার করুন