চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

আত্মঘাতী হয়েছেন বোকো হারাম প্রধান আবুবকর!

৭ জুন, ২০২১ | ১২:২৪ অপরাহ্ণ

নাইজেরিয়ায় ত্রাস সৃষ্টিকারী জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের প্রধান নেতা আবুবকর শেখাও আত্মঘাতী হয়েছেন। এক অডিও রেকর্ডিংয়ে এমনটি দাবি করেছে বিরোধী আরেকটি জঙ্গি গোষ্ঠী।

গত মাসেও একবার শেখাও এর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিলো। এর আগেও তিনি নিহত হয়েছিলেন বলে খবর প্রকাশ করা হয়েছিল।

বার্তা সংস্থাগুলোর হাতে আসা অডিওতে শোনা যায়, ইসলামিক স্টেট ওয়েস্ট আফ্রিকা প্রোভিন্স-আইএসডাব্লিউএপি নামে একটি জঙ্গি গোষ্ঠী দাবি করছে যে, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে সাথে থাকা বিস্ফোরকের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিহত হন আবুবকর শেখাও। তবে বোকো হারাম কিংবা নাইজেরিয়ার সরকার কেউই এই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি।

কি ছিল রেকর্ডিংয়ে?

কোনো সুনির্দিষ্ট তারিখ ছাড়া ওই অডিও রেকর্ডিংয়ে ধারণ করা গলার স্বর যা আইএসডাব্লিউএপি- এর নেতা মুসাব আল-বারনাওয়ির বলে ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে তিনি বলেন, শেখাও বিস্ফোরণ ঘটানোর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবেই মারা যান। আইএসডাব্লিউএপি এর যোদ্ধারা তাকে গ্রেপ্তার করে এবং তাদের দলে যোগ দেয়ার সুযোগ দেয়। শেখাও পৃথিবীর বুকে অপমানিত হওয়ার পরিবর্তে পরজীবনে অপমানিত হওয়াকে বেছে নিয়েছেন।

এর আগে গত মাসে যখন শেখাও এর মৃত্যুর খবর প্রচার করা হয়েছিল তখন নাইজেরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল যে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। সেসময় সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মেদ ইয়েরিমা বিবিসিকে বলেছিলেন যে, কী ঘটেছে সে বিষয়ে অনুসন্ধান করছে সামরিক বাহিনী। তবে নিশ্চিত প্রমাণ ছাড়া তারা কোন বিবৃতি দেবে না বলেও জানান তিনি।

নিরাপত্তা সংস্থার সাথে ঘণিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে এমন এক সাংবাদিক জানান, উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ার সামবিসা বনে বোকো হারামের অবস্থান লক্ষ্য করে আইএসডাব্লিউএপি হামলা চালালে শেখাও নিহত হন।
এর আগে অসংখ্যবার তিনি নিহত বলে প্রচার করা হলেও আবার আত্মপ্রকাশ করেছেন তিনি।
২০০৯ সালে পুলিশের হেফাজতে বোকো হারামের প্রতিষ্ঠাতা মারা যাওয়ার পর এই গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব নেন শেখাও। এরপর এটিকে একটি গোপন বিদ্রোহী গোষ্ঠী থেকে ভয়ঙ্কর জঙ্গি গোষ্ঠীতে পরিণত করেন তিনি। গোষ্ঠীটি পরবর্তীতে উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায় ত্রাসের রাজ্য কায়েম করে।
শেখাওয়ের নেতৃত্বে বোকো হারাম ওই এলাকায় বোমা হামলা, অপহরণ এবং কারাগারে হামলা চালিয়ে বন্দীদের মুক্ত করার মতো ঘটনা ঘটিয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে শরীয়া আইনের আওতায় ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শহরগুলো দখলে নেয়া শুরু করে।

চল্লিশের কোঠায় থাকা শেখাও প্রোপাগান্ডা ভিডিওর মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী জিহাদি প্রচারণার প্রতি সমর্থন টানেন। যার কারণে তাকে ওসামা বিন লাদেনের সাথে তুলনা করা হয়।

 

পূর্বকোণ/এসি/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট