চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

আড়াই মাস পর অভিযানে নামছে বিআরটিএ

রবিবার থেকে কার্যক্রম শুরু ডকুমেন্ট ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : ম্যাজিস্ট্রেট

ইমরান বিন ছবুর

৩০ জানুয়ারি, ২০২০ | ৪:৩৩ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ আড়াই মাস পর অভিযানে নামছে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)। আগামী রবিবার থেকে ডকুমেন্টবিহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সহীন চালকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে বলে জানান বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেট। গত নভেম্বরের ১৩ তারিখ বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হককে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসেবে পদায়নের পর বিআরটিএ’র অভিযান থেমে যায়। ম্যাজিস্ট্রেট থাকলেও অভিযান পরিচালনার ক্ষমতা না থাকায়, ডকুমেন্টবিহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ হয়ে যায় বিআরটিএ’র। চলতি মাসের ২৩ তারিখ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার ক্ষমতা পান বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরের জামান চৌধুরী। এর আগে তিনি ফেনী সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) দায়িত্ব পালন করেন। ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হকের পদায়নের পর বিআরটিএ’র অভিযান বন্ধ হয়ে যায়। গত আড়াই মাস বিআরটিএ ডকুমেন্ট ও ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি।

বিআরটিএ’তে শান্তনু কুমার দাশ কুমার নামের আরো একজন ম্যাজিস্ট্রেট থাকলেও অভিযান পরিচালনা করার ক্ষমতা নেই তার। এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরের জামান চৌধুরী জানান, আগামী রবিবার থেকে নগরীর বিভিন্ন সড়কে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সড়কে ডকুমেন্টবিহীন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ গাড়ি এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কোন গাড়ি রাস্তায় চলাচল করতে দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বিআরটিএতে যোগদান করলেও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার ক্ষমতা না থাকায়, কোন অভিযান পরিচালনা করতে পারিনি। চলতি মাসের ২৩ তারিখ ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার পাই। এখন থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হবে। সিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মোস্তাক আহমেদ খান বলেন, বিআরটিএ’র অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই।

বিআরটিএ’র ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযানে আমাদের সহযোগিতা থাকবে। বিআরটিএ তো রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান। পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিআরটিএ’র সাথে আমরাও থাকবো। উল্লেখ্য, ডকুমেন্ট ও ফিটনেসবিহীন, মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ির ও চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আলোচনায় আসেন তৎকালীন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক। ড্রাইভিং ও গাড়ির কাগজপত্র না থাকায় চালক ও মালিককে কারাগারে পাঠান তিনি। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে বেশ

সোচ্চারও ছিলেন। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় এবং যাত্রী হয়রানির অভিযোগে চালকদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। অভিযান পরিচালনা করায় যত্রতত্র যাত্রী নামানো এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় অনেকটা কমে আসে। এছাড়াও, বিআরটিএ এলাকাকে দালালমুক্ত রাখতে অভিযান পরিচালনা করে কয়েকজন দালালকে আটক করে কারাগারেও পাঠিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট