চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রাউজানে লটারির নামে প্রতারণা

১৬৪ গ্রাহকের টাকা দিয়ে গণপিটুনি থেকে রক্ষা দুই প্রতারকের

নিজস্ব সংবাদদাতা হ রাউজান

২৭ জানুয়ারি, ২০২০ | ৬:০০ পূর্বাহ্ণ

রাউজানে একদল প্রতারক গ্রামে গ্রামে গিয়ে নারীদের কাছে একশ’ টাকা মূল্যে লটারি বিক্রি করে প্রায় ১৬ হাজার ৪০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। লটারির নামে ভুয়া টোকেন বিক্রির এই খবর জানাজানি হলে স্থানীয়রা ধাওয়া করে দুই প্রতারককে পিটুনি দিয়েছে। পিটুনির শিকার প্রতারকরা হলো শেরপুর জেলার শ্রীবর্দি উপজেলার বাসিন্দা রুহুল আমিন (১৮) ও জামালপুরের বক্সিগঞ্জে উপজেলার আতিক হাসান (১৯)। পরে লটারি বিক্রির টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পায় ওই দুই প্রতারক। গতকাল রবিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামে। প্রতারণার শিকার নারী, স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রবিবার সকাল থেকে কচুখাইন গ্রামে ৭ থেকে ৮ জনের একদল প্রতারক কয়েকটি দল হয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদের কাছে লোভনীয় অফারে একশ’ টাকা মূল্যের ছাপানো লটারির টোকেন বিক্রি করে। ওসব টোকেনে গোপন পণ্যের নাম ঢেকে দেয়া হয় মোছনীয় প্রলেপে। নারীদের জানানো হয়, একসপ্তাহ পর ঢেকে দেয়া স্থান ঘষে যেই পণ্যের

নাম উঠবে সেই পণ্যটি টোকেন দেখিয়ে স্থানীয় নোয়াপাড়া পথেরহাট বাজারের বন্ধু ইলেক্ট্রোনিক্স থেকে নিয়ে যেতে পারবে। পরে প্রতারিত পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বিষয়টি জেনে খোঁজ নিতে পথেরহাট বাজারে গেলে বন্ধু ইলেক্ট্রনিক্স নামে কোন প্রতিষ্ঠানের খোঁজ না পেয়ে দুই প্রতারককে পিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করে বিলি করা ১৬৪টি লটারির টোকেনের বিপরীতে নেয়া ১৬ হাজার ৪০০ টাকা ফেরত দিতে বাধ্য করা হয়।
প্রতারণার শিকার গৃহবধু নাসিমা আকতার বলেন, ‘আমাদের মিথ্যা প্রলোভনে টাকা হাতিয়ে নিতে তারা প্রতারণা করেছিল। পুরুষ সদস্যরা বিষয়টি টের পেলে আমরা টাকা ফেরত পাই। নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কাসেম বলেন, ‘দুই প্রতারককে স্থানীয়রা বেঁধে রেখে পিটুনি দেন। পরে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করে ১শ’ ৬৪ জন গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া ১৬ হাজার ৪০০ টাকা ফেরত দিয়ে রক্ষা পান’।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট