চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সৌদি আরবে চালু হচ্ছে দ্রুতগতির ট্রেন

সৌদি আরব সংবাদদাতা

২ জানুয়ারি, ২০২০ | ১০:৫০ অপরাহ্ণ

সৌদি আরবে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো লাখো ধর্মপ্রাণ মুসলমান হজ ও ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্য জড়ো হন পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনায়।তারই ধারাবাহিকতায় হজ ও ওমরাহ পালন শেষে হজ যাত্রীরা হযরত মুহাম্মদ (সঃ) রওজা জিয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হন মদিনায় মনোয়ারায়। তবে মক্কা নগরী থেকে মদিনা মনোয়ারার দুরত্ব প্রায় সাড়ে ৪শ’ কিলোমিটার।

এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সময় লাগবে মাত্র ১ ঘণ্টা বা তার কিছু বেশি। অল্প সময়ে হজ যাত্রীদের মক্কা-মদিনায় যাতায়াত নিশ্চিত করতে সৌদি সরকার দ্রুত গতির ট্রেন লাইন স্থাপনের নতুন প্রকল্প নিয়ে আসছে। মক্কা-মদিনার যাতায়াতে উচ্চগতি সম্পন্ন হারামাইন হাই-স্পিড রেলপথ আরো আগেই স্থাপন করা হয়েছে। এ ট্রেনের গতিকে আরো ৩০০ কিলোমিটার বাড়ানোর প্রকল্প নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করেছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সির তথ্য মতে আরব নিউজ জানায়, নতুন প্রকল্পের ট্রেনের গতি থাকবে প্রায় ৪০০-৪৫০ কিলোমিটার। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পবিত্র নগরী মক্কা থেকে মদিনায় যেতে সময় লাগবে মাত্র এক থেকে দেড় ঘণ্টা। উচ্চগতির এ রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় হজ, ওমরা ও দর্শনার্থীরা সহজেই মক্কা ও মদিনায় যাতায়ত করতে পারবে। দীর্ঘ সময় নিয়ে আসা-যাওয়ার অবসান হবে।

প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় জড়িত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে জানা যায়, কিং আবদুল্লাহ ইকোনমিক সিটি স্টেশন ও মদিনার মধ্যে যাত্রা সর্বোচ্চ গতিতে পৌঁছাবে। যার ফলে জেদ্দা ও মদিনার কিং আব্দুলাজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মক্কা-মদিনার মধ্যে দেড় ঘণ্টায় ভ্রমণ সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। দ্রুতগতির ট্রেনের সবগুলো স্টেশনেই ভ্রমণকারীদের জন্য বিজনেস ক্লাসের লাউঞ্জ, গণ পরিবহন ব্যবস্থা, হেলিকপ্টার ল্যান্ডিং স্টেশন, পর্যাপ্ত পার্কিং সুবিধা, সিভিল ডিফেন্স স্টেশন, মসজিদ এবং আন্তর্জাতিক মানের শপিংমলসহ ভ্রমণকারীদের প্রয়োজন পূরণে থাকবে সার্বিক ব্যবস্থাপনা।

৪৫০ কিলোমিটার জুড়ে এ রেলপথ পরিচালিত ট্রেনটি বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় পরিচারিত হবে। মক্কা থেকে মদিনা পর্যন্ত থাকবে মোট ৫টি স্টেশন। সব স্টেশন থেকেই যাত্রীরা এ ট্রেনে ভ্রমণের সুযোগ পাবে। রেল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানান, এটিই সৌদি আরবের বৃহত্তম পরিবহন প্রকল্প।

উল্লেখ্য যে, বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ গত ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এ রেলপথটির উদ্বোধন করেছিলেন। হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের সেবার মান বাড়াতেই বাদশাহ এ প্রকল্প গ্রহণ করেছিলেন।

 

 

পূর্বকোণ/অভি-আরপি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট