চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের অভিমত দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি

২৩ নভেম্বর, ২০১৯ | ৪:৪৮ পূর্বাহ্ণ

২০২০ সাল নাগাদ বাংলাদেশে জিডিপি ( মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধিরহার ৮ শতাংশে গিয়ে পৌঁছাবে। এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এমনই চিত্র উপস্থাপন করেছে তাদের এক ব্লগ পোস্টে। সামগ্রিক বিচারে মনে হতেই পারে রকেট গতিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এতে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে যখন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাবার পর খুবই দরিদ্র অবস্থায় ছিল বাংলাদেশ। দেশটিতে জিডিপির অবস্থা তেমন ভালো ছিলোনা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছিল। এছাড়া বন্যা ও খরা লেগেইছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেশটিতে অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। এশিয়ান ডেভেলমেন্ট ব্যাংক এর হিসেবে বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধি হার ৮ শতাংশ, যা দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে এগিয়ে।ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশের পর ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে ভারত দক্ষিণএশিয়ায় দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। ৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকবে মালদ্বীপ ও নেপাল।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের পুর্বাভাস : জনসংখ্যা বিস্ফোরণের হার কমে যাওয়ায় মাথা পিছু আয় বেড়েছে। ২০১০ সালে দেশটিতে দারিদ্র সীমার নিচে বাস করা শ্রমিকদের হার ছিল ৭৩ দশমিক ৫ শতাংশ। কিন্তু ২০১৮ সালে হ্রাস পেয়ে ১০ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসে। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে জাতিসংঘ। সেখান থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ২০২৪ সাল নাগাদ এর উত্তরণ সম্পন্ন হবে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীতহওয়ার এই যোগ্যতা অর্জনের মানে হচ্ছে দেশের মোট জাতীয় আয়ের সঙ্গে মাথা পিছু আয়, মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক ও পরিবেশ গত ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা বেড়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘দ্য গ্লোবাল কম্পিটিটিভনেস রিপোর্ট’- বাংলাদেশকে ১০৫তম স্থানে রাখা হয়। এই তালিকায় দেশগুলো যত সামনে থাকবে, ততই জীবনমানের উন্নতি দেখা যাবে। ১৯৭০ সালে শুরু হওয়া বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্পের বর্তমান আকার ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আইটি সেক্টরে দেশটির অনেক উন্নতিহয়েছে। প্রায় ১ বিলিয়ন ডলারের প্রযুক্তি পণ্য প্রতিবছর রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। ২০২১ সালে এর পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটিতে ৬ লাখ ফ্রি ল্যান্সার রয়েছে।

এছাড়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিশু মৃত্যু হ্রাসে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নতি সাধন করেছে বলে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট